অনলাইনে নিজের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন মাত্র ২ মিনিটে।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে নিজের কাছে ভোটার আইডি কার্ড থাকার খুবই প্রয়োজন। কেননা আপনি এই ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া দেশের সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা নিতে পারবেন না। এখন কার সময় প্রায় সব বেসরকারি গুরুত্বপুন্ন কাজে ভোটার আইডি কার্ডের ফটো কপি নিয়ে থাকে। আমরা দেখাবো কিভাবে আপনি অনলাইনে নিজের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন।

এই ভোটার আইডি কার্ডটি হবে অনলাইন কপি। আপনি মাত্র ২ মিনিটে সেজন্য স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার দিয়ে ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনি এই অনলাইন কপির মাধ্যমে যেকোনো কাজ করতে পারবেন। এটি আপনার অরজিনাল ভোটার আইডি কার্ডের মতোই সব কাজ করতে পারবেন। তাই চুলুন আর দেরি না করে দেখি কিভাবে নিজের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায়।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার সুবিধা।

আমাদের এই ডিজিটাল যুগে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার সুবিধা অনেক। আপনি ঘরে বসেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন। অনলাইনে এই সেবার মাধ্যমে আপনি সময় বাঁচাতে পারেন। আপনাকে আর সরাসরি নির্বাচনী অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। সরাসরি নির্বাচনী অফিসে গেলে তারা একদিনে আপনার কাজ করে দিবে না। আপনাকে সরাসরি নিধারিত ফি প্রথান করতে হবে। অন্যান আরো অনেক ঝামেলা আপনাকে পড়তে হবে। তাই আপনি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারলে এই সবের আর প্রয়োজন হবে না। এতে করে আপনি আপনার অর্থ ও সময় দুটোই বাঁচাতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য কিছু শর্তাবলী প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সরকার আমাদের কে অনলাইনে নিজের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার সুবিধা দিয়েছে। তবে তার সাথে সাথে কিছু প্রয়োজনীয় শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এই প্রয়োজনীয় শর্ত গুলো জুড়ে দেওয়ার কারণে একজন অন্য জনের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবে না। এই প্রয়োজনীয় শর্ত গুলো প্রতিটি নাগরিকের তথ্য নিরাপত্তা নিচিত করে। কেননা ভোটার আইডি কার্ড এখন নাগরিকের সব থেকে গুগুরুপূন্ন নথি।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার আগে আপনাকে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এই গুলো খবই প্রয়োজনীয়।

যেমন:

  • ইন্টারনেট সংযোগ: আপনার ইন্টারনেট সংযোগ থাকা আবশ্যক।
  • নাগরিকত্ব তথ্য আপডেট থাকা: আপনি যদি সম্প্রতি ভোটার হন তবে আপনার তথ্য আপডেট হওয়া প্রয়োজন। তবে অনেক ক্ষেত্রে নতুন ভোটারদের তথ্য আপডেট না থাকার কারণে খুঁজে পাওয়া যায় না। এটি আপনি একটু পুরাতন সকল ভোটারদের তথ্য পেয়ে যাবেন।
  • এনআইডি কার্ডের তথ্য: আপনার এনআইডি নম্বর এবং জন্ম তারিখ অথবা জন্ম নিবন্ধনের তথ্য আপনার কাছে থাকা আবশ্যক।
  • ফেইস ভেরিফিকেশন: নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট একাউন্ট তৈরী করার পরে ভিতরে প্রবেশ করার আগে আপনাকে ফেইস ভেরিফিকেশন করতে হবে। তাই আপনাকে অবশ্যই একটি স্মার্টফোন দিয়ে এই ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পুন্ন করতে হবে।

এই তথ্য গুলো আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নিরাপত্তা নিচিত করে। কারণ আপনি ছাড়া এই সব তথ্য গুলো অন্য কেউ দিতে পারবে না।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডের ধাপগুলো।

এখন আসুন গুতুত্বপুন্ন বিষয়ে। অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করেত নিচের ধাপ গুলো গুলো ভালো ভাবে অনুসরণ করুন। আশাকরি খুব সহজেই আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।

প্রথমে আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্রের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটে প্রবেশ ঠিকানা: এখানে চাপদিন।
এই ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত হয়। যেখানে আপনি আপনার ব্যক্তিগত ভোটার তথ্য দেখতে পারবেন। এই তথ্য গুলো আপনি চাইলে ডাউনলোড অথবা এডিট করতে পারবেন। এটি শুধুমাত্র আপনার নিজেস্ব বিষয়।

জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে

লগইন করুন অথবা রেজিস্টার করুন।

প্রথমে আপনাকে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। যদি আপনার আগের থেকে অ্যাকাউন্ট থাকে তবে সহজেই “লগইন” করুন। আগে হেকে একাউন্ট না থাকে তাহলে আপনাকে একটি নতুন একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। তুন ব্যবহারকারীদের জন্য “রেজিষ্টার করুন”

নতুন করে একটি একাউন্ট তৈরী করার জন্য আপনার নাম, ঠিকানা, এনআইডি নম্বর, জন্মতারিখ এবং মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে। তার পরেই ফোন একটি OTP কোড আসবে সেটা বসিয়ে দিন এবং সম্পুন্ন করুন।

জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইট

Nid Wallet অ্যাপস ডাউনলোড এবং ফেইস ভেরিফিকেশন করুন।

একাউন্ট তৈরী সম্পুন্ন হলে আপনাকে ফেইস ভেরিফিকেশন করতে হবে। তাই ফেইস ভেরিফিকেশন করার জন্য আপনাকে একটি এপপ্স ডাউনলোড করতে হবে। এই এপপ্স এর মাধ্যমে আপনি আপনার ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পুন্ন করতে পারবেন। এই ফেইস ভেরিফিকেশন আপনার তথ্যের নিরাপত্তার জন্য ব্যাবহার করা হয়েছে। চলুন দেরি না করে আপনাকে ধাপে ধাপে বুজিয়ে দেই।

  • QR কোড স্ক্যান: আপনার ডিস্পেলের সামনে এই QR কোড স্ক্যান করতে বলবে। আপনি QR কোড স্ক্যান করলে আপনাকে গুগল প্লেস্টোরে একটি এপপ্স ডাউনলোড করতে বলবে।
  • NID Wallet: NID Wallet নামে এই এপপ্স ডাউনলোড হবে। আপনি লিংক দিয়ে দিলাম যদিও তার প্রয়োজন নেই। QR কোড স্ক্যান করলে অটোমেটিক হয়ে যাবে।
  • ফেইস ভেরিফিকেশন: অ্যাপস থেকে Start Face Scan বাটনে ক্লিক করলে ফেইস ভেরিফিকেশন শুরু করতে হবে। Start Face Scan বাটনে ক্লিক করলে অটোমেটিক ক্যামেরা ওপেন হয়ে যাবে। তার পরে আপনার ফেইস স্ক্যান শুরু হবে। তবে আপনার মুখমন্ডল কে বামে ডানে ঘুরাতে হবে। যেন ভালো ভাবে ফেইস স্ক্যান হয়। তার পরে ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পুন্ন হবে এবং আপনাকে পাসওয়ার্ড অপশনে নিয়ে যাবে।

Nid Wallet

শেষ ধাপে পাসওয়ার্ড সেট করুন।

আপনার ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হলে ডিস্পেলেতে পাসওয়ার্ড সেট নামক অপশনটি ওপেন হবে। তার পরে আপনি আপনার ইচ্ছে মতো একটি পাসওয়ার্ড সেটআপ করে নিতে পারেন। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন কখনোই সহজ কোনো পাসওয়ার্ড সেট করবেন না। আপনার পাসওয়ার্ড যদি দুর্বল হয় তাহলে যে কেউ আপনার ফোন নম্বর আর পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করতে পারবে। তাই সব সময় কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করুন।

এখন জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করুন।

সব ধাপ শেষ আপনি এখন সহজে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড করার জন্য “ডাউনলোড” নামক অপশনে চাপ দিন। তার পরে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের পিডিএফ ফরম্যাটের মাধ্যমে ডাউনলোড হয়ে যাবে। এটি একটি অনলাইন কপি হিসেবে থাকবে। আপনি চাইলে কোনো ষ্টুডিও থেকে প্রিন্ট করে লেমেডিঙে মাধ্যমে ব্যাবহার করতে পারেন।

এখন জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করুন

অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান।

অনলাইনে নিজের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার পরে যদি কোনো কচিহু আপনার ভুল মনে হয় আপনি সেটা ঠিক করতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় মদের ভোটার আইডি কার্ড নাম ঠিকানায় কিছু ভুল পাওয়া যায়। যেমন আপনার ঠিকানা অথবা নামে অথবা জন্ন তারিখে কিছু ভুল আছে। আপনি চাইলে সহজে সেটা ঠিক করতে পারেন।

ভুল তথ্য ঠিক করার জন্য আপনি যে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে রয়েছেন সেখানে আপনার সব তথ্য এডিট করে পারবেন। তথ্য এডিট করার পরে আপনাকে একটি সরকারি ফি দিতে হবে। ফি প্রদান করার পরে আপনাকে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। কেননা বাগলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আপনার তথ্য যাচাই করে। সব কিছু নির্বাচন কমিশনের যাচাই করার পরে সেটা পুনরায় তাদের ডেটাবেজে আপডেট করে। এই কাজের জন্য কিছু দিন সময় প্রয়োজন হয়ে থাকে।

অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান

সমাপ্তি মন্তব্য।

অনলাইনে নিজের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা বর্তমান ডিজিটাল যুগে একটি অত্যন্ত সহজ কাজ। এটি আপনার সময় এবং অর্থ দুটোয় বাঁচায়। অনলাইন এই ব্যবস্থা থাকার কারণে আপনাকে আর সরাসরি নির্বাচনী অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সরাসরি নির্বাচনী অফিসে তার একটি ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করতে অনেক সময় নিয়ে থাকে। তাই আমার যদি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করি সেক্ষেত্রে আমাদের কোনো অপেক্ষা করতে হয় না।

নির্বাচনী অফিসে প্রতিটি ভোটার আইডি কার্ড খুঁজে বের করে দেওয়ার জন্য তারা একটি ফি নিয়ে থাকে। অনেকে অনলাইনে কোনো ফি দিতে হয় না। তবে আপনি যদি নিজের ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়েন তাহলে অবশ্যিই রাসরি নির্বাচনী অফিসে যাবেন। আপনার সমস্যার কথা তাদের কে বলুন তারা সমাধান করে দিবে। তাই দেরি না করে এখনই অনলাইনে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন। পরে সকল সরকারি বেশ গ্রহণ করুন।

কিছু জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)

সাধারণ মানুষ আমাদের প্রায় যে প্রশ্ন গুলো করে থাকে সেই প্রশ্ন গুলি এবং উত্তর।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডের জন্য কি কোনো ফি লাগে?

না কোনো ফি লাগে না। অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে কত সময় লাগে?

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে যদি আপনার সমস্ত তথ্য সঠিক থাকে।

অনলাইনে ডাউনলোড করা আইডি কার্ড কি আসল কার্ডের মতোই গ্রহণযোগ্য?

হ্যাঁ, অনলাইনে ডাউনলোড করা আইডি কার্ড আসল কার্ডের মতোই গ্রহণযোগ্য এবং যেকোনো সরকারি অথবা বেসরকারী কার্যক্রমে ব্যবহার করা যায়।

আমার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য ভুল থাকলে আমি কি করতে পারি?

যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের কোনো তথ্য ভুল থাকে তাহলে আপনি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে তথ্য আপডেটের জন্য আবেদন করতে পারেন। এ জন্য তারা কিছু ফি গ্রহণ করতে পারে।

ভালো লাগলে আমাদের এই ব্লগ পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। OurBD Team কে আরো ভালো ব্লগ পোস্ট প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত করুন।
ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন।