ক্লাউড কম্পিউটিং কী? ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে কি বুঝায়? সবকিছু

ক্লাউড কম্পিউটিং কী

বর্তমান সময়ের সব থেকে আলোচিত বিষয় হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। আমাদের মধ্যে সবাই ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যাবহার করে থাকি। তবে মজার বিষয় হলো আমরা অনেকে জানিনা ক্লাউড কম্পিউটিং কী? আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যাবহার করি তারা সবাই ক্লাউড কম্পিউটিং এর কোনো না কোনো সার্ভিস ব্যাবহার করি। এখানে আপনার চিন্তার কোনো কারণ নেই ইন্টারনেট ব্যাবহার কারীদের সুবিধার জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা তৈরী করা হয়েছে। আমরা প্রতিটি ইন্টারনেট ব্যাবহার করি এই সেবার সাথে জড়িত।

ক্লাউড কম্পিউটিং কী? | ক্লাউড কম্পিউটিং কাকে বলে?

সহজ ভাবে বলতে গেলে পুরো ইন্টেরনেট সিস্টেম ক্লাউড কম্পিউটিং এর উপর নির্ভর করে চলে। যেমনঃ আমরা সবাই কোনো কিছু জানার জন্য গুগল সার্চ করে থাকি। গুগল এই তথ্য গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে থাকে। এখানে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে গুগল এই তথ্য গুলো কোথায় সংগ্রহ করে রাখে? তারা এই তথ্য গুলো তাদের একটি সার্ভারে সংরক্ষণ করে রাখে যেখানে রয়েছে অনেক গুলো হার্ডডিস্ক বা হার্ড্রাইভ। আর রয়েছে একটি সুপার ইস্পীড ইন্টারনেট সংযোগ। এই ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে তাদের সার্চে করা তথ্য গুলো ব্যাবহার কারীদের সামনে তুলে ধরে। এই পুরো সিস্টেম টাকেই ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেম বলা হয়।

যেমনঃ আমরা সবাই প্রতিদিন ইউটিউবে কোনো না কোনো ভিডিও দেখি। এই ভিডিও গুলো ইউটিউব চ্যানেলের মালিকেরা আপলোড করে থাকে। এই ভিডিও গুলো ইউটিউব তাদের একটি সার্ভারে সংরক্ষণ করে রাখে যেখানে রয়েছে অনেক গুলো হার্ডডিস্ক বা হার্ড্রাইভ থাকে। যখন কেউ ইউটিউব সেই ভিডিও গুলো সার্চ করে তখন তাদের কে দেখায়। এই সম্পুন্ন প্রসেস টি হলো ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেমে একটি অংশ। ক্লাউড কম্পিউটিং কী? আশাকরি আপনারা মেইন বিষয়টি বুজতে পড়েছেন। তবে ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেম বেশ কিছু অংশ রয়েছে যে গুলো বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার করা হয়। তাই ক্লাউড কম্পিউটিং কী? এবং ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা কি সবকিছু নিয়ে আলোচানা করা হলো।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট্য

সহজ ভাবে বলতে গেলে তথ্য গুলো যেখানে জমা রেখে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক্সেস প্রধান করা হয় তাকেই ক্লাউড কম্পিউটিং বলে। যেমনঃ হতে পারে ইউটিউবের ভিডিও অথবা গুগল প্লেস্টোরের এপপ্স গুলো, হতে পারে বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইটে তথ্য যে কোনো কিছু হতে পারে। এক কোথায় যে তথ্য গুলো ইন্টারনেট মাধ্যমে ব্যাবহার করা যায় সেটাই ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করে।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রথান তিনটি ধরন রয়েছে। তবে একই আলাদা ধরণের ক্লাউড রয়েছে যেটা মাল্টি ক্লাউড নাম পরিচিত। যে গুলো তাদের ব্যাবহার কারীদের সব ধরণের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। যে কম্পানি বা ব্যাক্তির যে রখম সার্ভিস ধরকার তারা সেটা অনুযায়ী অর্থ প্রধান করে। এখানে ব্যাবহারকারী বলতে যারা এই সার্ভিস গুলো কিনবে তাদের কে বোঝানো হয়েছে।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট্য।

প্রথম: পাবলিক ক্লাউড (Public Cloud)

পাবলিক ক্লাউড হলো এমন একটি পরিবেশ যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি ভাড়া নিয়ে তাদের তথ্য জমা রাখতে পারে। এই পরিষেবা ব্যবহার করার জন্য তাদের কে ভাড়া দিতে হয়। এই ভাড়া নিধারণ হবে তারা কি পরিমান সার্ভারের হার্ডডিস্ক বা হার্ড্রাইভ জায়গা প্রয়োজন। আর একটি বিষয় এই জমা রাখা তথ্য গুলো একসাথে সর্বোচ্চ কত জন মানুষ ভিজিট বা দেখতে পারবে অথবা ডাউনলোড করতে পারবে। এই বিষয় গুলোর উপর তাদের সার্ভারের ভাড়া নিধারণ হবে। সেই কোম্পানি বা ব্যাক্তি অবশই জানে তথ্য গুলো রাখার জন্য কত GB জায়গা প্রয়োজন। প্রতিদিন কোনো গুলো মানুষ ভিজিট বা দেখতে পারবে। সেই অনুপাতে তারা একটি পাবলিক ক্লাউড সাভার জায়গা ভাড়া নিবে। আশাকরি আপনি বুজতে পেরেছেন ক্লাউড কম্পিউটিং কী।

বর্তমান সময় অনেক কোম্পনি পাবলিক ক্লাউড সাভার ভাড়া দিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয় কিছু পাবলিক ক্লাউড প্রোভাইডারের নাম উল্লেখ করা হলো।
যেমনঃ

  • Google Cloud: গুগল ক্লাউড একটি গুগলের কোম্পনি। এই কোম্পনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে তাদের পাবলিক ক্লাউড সার্ভিস ভাড়া দিয়ে থাকে। এখান থাকে নিদিষ্ট পরিমান জায়গা ভাড়া নিয়ে তারা ব্যাবহার করতে পারে।
  • Amazon Web Services (AWS): আমাজন ওয়েব সার্ভিস হলো আমাজানের একটি সনামধন্য কোম্পনি। এটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে তাদের পাবলিক ক্লাউড সার্ভিস ভাড়া দিয়ে থাকে। এখান থাকে নিদিষ্ট পরিমান জায়গা ভাড়া নিয়ে তারা ব্যাবহার করতে পারে।
  • Microsoft Azure: এটি মাইক্রোসফটের একটি কোম্পনি। আগের কোম্পনি গুলোর মতো তারাও নিদিষ্ট পরিমান জায়গা ভাড়া দিয়ে থাকে।

দ্বিতীয়: প্রাইভেট ক্লাউড (Private Cloud)

প্রাইভেট ক্লাউড হলো এমন একটি ক্লাউড সিস্টেম যা নির্দিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা তাদের নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করে। এই সিস্টেমটি একটি একক প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরী করা হয়। যেখানে শুধু সেই নিদৃষ্ট একটি কোম্পনির তথ্য সংরক্ষণ করা থাকে। যেখান থেকে থাকে ব্যাবহার করি বা ভিজিটের উপরে তাদের প্রাইভেট ক্লাউড সিস্টেম কে আপডেট করে থাকে। এই সিস্টেমে তারা নিজেরাই তাদের সব কিছু পরিচারলোনা করে।

তৃতীয়: হাইব্রিড ক্লাউড (Hybrid Cloud)

হাইব্রিড ক্লাউড হলো পাবলিক এবং প্রাইভেট ক্লাউডের সমন্বয়ে তৈরি করা একটি মিশ্র সিস্টেম। এটি ব্যবসাগুলিকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পাবলিক এবং প্রাইভেট উভয় ক্লাউডের সুবিধা দিয়ে থাকে। তার কোম্পনির গুলোর প্রয়োজন অনুযায়ী এই সার্ভিস গুলো দিয়ে থাকে। উচ্চতর সুরক্ষার জন্য প্রাইভেট ক্লাউড এবং স্বাভাবিক ব্যবহারের জন্য পাবলিক ক্লাউড দিয়ে থাকে। কোম্পানি গুলো তাদের চাহিদা মতো যেকোনো পরিষেবা নিতে পারে।

চর্থ: মাল্টি ক্লাউড (MultCloud)

সাধারণত হাইব্রিড ক্লাউড হলো ক্লাউড কম্পিউটিং এর সর্বশেষ মাধ্যম। তবে এখন ক্লাউড কম্পিউটিং এর নিরাপত্তা আরো বাড়ানোর জন্য মাল্টি ক্লাউড ব্যাবহার করা হচ্ছে। এই ক্লাউড সিস্টেমে জমা রাখা তথ্য গুলো আরো বেশি নিরাপদ থাকে। মূলত তথ্যকে আরো নিরাপদ রাখতে এই হাইব্রিড ক্লাউড জন্ম। এখন কার সব ধরনের হাইব্রিড ক্লাউড মাল্টি ক্লাউডের মধ্যে পড়ে কিন্তু সব ক্লাউড মাল্টি ক্লাউড আবার হাইব্রিড ক্লাউড নয়। এই বিষয়টি আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। আশাকরি আপনি বুজতে পেরেছেন ক্লাউড কম্পিউটিং কী।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা কি?

ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যাবহারে এর অনেক সুবিধা রয়েছে যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। নিচে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যাবহারে ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা কি?

খরচ সাশ্রয়

ক্লাউড কম্পিউটিং কোমপানি গুলোর প্রযুক্তিগত খরচকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনে। ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করার মাধ্যমে কোম্পনি গুলোকে সার্ভারের জন্য আলাদা কোন হার্ডওয়্যার কেনার প্রয়োজন হয় না। স্টোরেজ বা হার্ডডিস্ক বা হার্ড্রাইভ ছাড়াই শুধুমাত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাউড পরিষেবা ব্যবহার করে পারে। এছাড়া এখন তাদের সফটওয়্যার খাতে কোনো অর্থ বিনিয়োগ করতে হয় না। তাই সব মিলে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য খরচ অনেক কমানো যায়। এটা হলো ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা।

আরো বেশি তথ্য নিরাপত্তা।

সাধারণত ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেম গুলি সবসময় উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদান করে। এই সার্ভার গুলোতে বিভিন্ন নিরাপত্তা স্তর থাকে যেমন: এনক্রিপশন, মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন এবং নিয়মিত ব্যাকআপ ইত্যাদি। এই কারণে ব্যবহারকারীদের তথ্য হারানোর বা তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশেই কমে থাকে। এটা হলো ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা।

সহজে তথ্যের প্রবেশ অধিকার।

সহজে ব্যবহারকারীরা যে কোনো স্থান থেকে ক্লাউড অ্যাক্সেস করতে পারেন। এত করে তাদের কাজের গতি অনেক বেড়ে যায় এবং সময় অনেক কম লাগে। যে ব্যবসার গুলোর কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে কাজ করেন তাদের জন্য ক্লাউড খুবই গুরুতপন্ন। এটা হলো ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা।

পরিষেবা বাড়ানো অথবা কমানো।

ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী ক্লাউড পরিষেবার ক্ষমতা বাড়ানো বা অথবা কমানো সম্ভব। আপনার ব্যবসার বাড়তি চাহিদা অনুযায়ী আপনি এটি বাড়ানো অথবা কমানো যে কোনো কিছু করতে পারবেন। যা আপনার ব্যবসার জন্য অত্যন্ত কার্যকর একটি মাধ্যম। এটা হলো ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা।

সহজে তথ্য ব্যাকআপ ও পুনরুদ্ধার করে পারবেন।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা রয়েছে। আপনি সহজে আপনার প্রতিষ্ঠানের তথ্য ব্যাকআপ নেওয়া এবং পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। আপনার প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিরাপদ রাখার জন্য অনেকে মাঝে মাঝে তথ্য ব্যাকআপ ও পুনরুদ্ধার করতে হবে। যার মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপুন্ন তথ্য গুলো হারানোর ভয় থাকবে না। আপনাদের মাঝে সহজ ভাবে তুলে ধরা হলো ক্লাউড কম্পিউটিং কী? এবং ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা কি কি।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ব্যবহারিক ক্ষেত্রসমূহ।

বর্তমান সময়ে ক্লাউড কম্পিউটিং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত বিপ্লব ঘটিয়েছে। এখন কার সময়ের ডিজিটাল ব্যবসা গুলো সব ক্লাউড কম্পিউটিং এর উপর নির্ভর করে তৈরী করা হয়েছে। তাই আমাদের জানা প্রয়োজন ক্লাউড কম্পিউটিং কী? এবং এর ব্যবহারিক ক্ষেত্রসমূহ গুলো কি।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ব্যবহারিক ক্ষেত্রসমূহ।

ব্যবসা এবং এন্টারপ্রাইজ ক্ষেত্রে।

বেশিরভাগ বড় এবং মাঝারি আকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো এখন ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করছে। এটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোকে কম খরচে দ্রুত কাজ করতে সাহায্য করে। এটি ডেটা অ্যানালাইসিস, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এবং কাস্টমার রিলেশন ম্যানেজমেন্ট (CRM) করতে সাহায্য করে। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো ক্লাউড ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের ব্যবসাগুলি কার্যক্ষমতা উন্নত করতে পারছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে।

আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখন অনলাইন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন কোর্স, ডিজিটাল লাইব্রেরি, এবং ভার্চুয়াল ক্লাসরুম ক্লাউড ব্যবহার করে পরিচালিত। ক্লাউডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে কোনো জায়গা থেকে শিক্ষা গ্রহণের সুবিধা পেয়ে থাকে।

স্বাস্থ্যসেবা খাতে।

স্বাস্থ্যসেবা খাতে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করার ভূমিকা অনেক। এখন তারা বিভিন্ন কাজে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার কর থেকে। রোগীর মেডিকেল রেকর্ড সংরক্ষণ, রোগীর ডেটা শেয়ার করা, এবং গবেষণা পরিচালনা করতে এটি প্রয়োজন হয়। ক্লাউড কম্পিউটিং মাধ্যমে চিকিৎসক এবং গবেষকরা সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারেন।

গেমিং এবং বিনোদন।

আমাদের এই প্রজন্ম ক্লাউড গেমিং এবং বিনোদন একটি নতুন ধারার গিয়ে পৌঁছেছে। তারা নিজের ডিভাইসে গেম ডাউনলোড না করেই সরাসরি ইন্টারনেটের মাধ্যমে গেম খেলতে পারে। এর ফলে তার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার ছাড়াই সকল গেমিং সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। ক্লাউডের মাধ্যমে যেকনো ভিডিও অথবা মুভি তারা অনলাইনে দেখতে পারে।

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট।

ক্লাউড কম্পিউটিং সফটওয়্যার ডেভেলপারদে সব চেয়ে পছন্দের একটি প্লাটফ্রম। এর মাধ্যমে তারা যেকোনো সফটওয়্যার ক্লাউডে টেস্ট করতে পারে। তারা চাইলে যে কোনো জায়গা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সফটওয়্যার ডেভলমেন্ট করে পারে।

তাই যারা আমাদের বলে থাকেন ক্লাউড কম্পিউটিং কী? এবং ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা কি? তাদের জন্য সব প্রশ্ন গুলোর উত্তর এখানে দেওয়া হলো।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ভবিষ্যত কি?

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ভবিষ্যত হবে উজ্জ্বল। কেননা ক্লাউড কম্পিউটিং ছাড়া আমরা ভবিষ্যতে আর কোনো বিকল্প খুঁজে পাবো না। এখনকার সময়ে ক্লাউড কম্পিউটিং ছাড়া আমার অন্য কিছু চিন্তা করতে পারি না। ক্লাউড কম্পিউটিং এর সাথে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে। এখন কার সময় সব থাকে প্রযুক্তি সম্পুন্ন AI গুলো ক্লাউড কম্পিউটিং এর সাথে যুক্ত। ক্লাউড কম্পিউটিং ছাড়া এই AI গুলো কাজ করতে পারবে না। এআই (Artificial Intelligence), আইওটি (Internet of Things), এবং মেশিন লার্নিং এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি গুলো ক্লাউড কম্পিউটিং নির্ভর।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ভবিষ্যত কি?

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে গুলোতে ক্লাউড কম্পিউটিং এর ব্যবহার আরও বহুমুখী হবে। বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে এবং প্রযুক্তি ক্ষতের এর প্রভাব আরো গভীরতর হবে। ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যাবহার করে ব্যবসাগুলি প্রতিষ্ঠান গুলো আরও দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবে। এতে করে তাদের প্রযুক্তিগত খরচ কমাতে পারবে। তাই আমার ভবিষতে ক্লাউড কম্পিউটিং এর বিকল্প কোনো কিছু চিন্তা করতে পাবো না। আশাকরি আপনি জানতে পেরেছেন ক্লাউড কম্পিউটিং কী? ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা কি? ভবিষতে ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রভাব গুলো ইত্যাদি।

কিছু জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)

আপনারা আমাদের প্রায় যে প্রশ্ন গুলো করে থাকেনা সেই প্রশ্ন গুলি এবং উত্তর সমূহ।

ক্লাউড কম্পিউটিং কী?

ক্লাউড কম্পিউটিং হলো একটি প্রযুক্তি যেখানে ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা পেয়ে থাকে যেমনঃ ডেটা স্টোরেজ, সার্ভার, অডিও, ভিডিও, সফটওয়্যার, ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারে। এই সব কিছু যেখানে স্টোর করা থাকে তাকেই ক্লাউড কম্পিউটিং বলে।

ক্লাউড কম্পিউটিং মূলত কি কাজে বহর করা হয়।

ক্লাউড কম্পিউটিং মূলত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাবহার কারীদের তথ্য দিয়ে থাকে। যেমনঃ ডেটা স্টোরেজ, সার্ভার, ডেটাবেস, যেখেনে কোন কিছু জমা করে রাখা যায় এবং যে কোন জায়গা থেকে ইন্টারনের মাধ্যমে ব্যাবহার করা যায়। আবার যেকোনো ভিডিও, অডিও, সফটওয়্যার ডাউনলোড, অনলাইন গেম খেলা ইত্যাদি। কাজে মূলত ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যাবহার করা হয়।

ক্লাউড কম্পিউটিং কীভাবে কাজ করে?

ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস যে কোম্পনি গুলো দেয় তারা এটি বড়ো সার্ভার সেটআপ করে। শেখে অনেক গুলো হার্ডডিস্ক বা হার্ড্রাইভ রাখে। অনেক ধারণ ক্ষমতা সম্পুন্ন কম্পিউটার হার্ডওয়ার রাখে। এবং একটি সুপার ইস্পীড ইন্টারনেট সংযোগ রাখে। এর পরে তারা বিভিন্ন কোম্পানি গুলোকে তাদের হার্ডডিস্ক বা হার্ড্রাইভ জায়গা ভাড়া দিয়ে থাকে।

ক্লাউড কম্পিউটিং কত প্রকার এবং কি কি?

বর্তমান সময়ে ক্লাউড কম্পিউটিং প্রধানত চার ধরনের।

  • পাবলিক ক্লাউড (Public Cloud): এটি সাধারণভাবে সকলের জন্য উন্মুক্ত এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাক্সেসযোগ্য।
  • প্রাইভেট ক্লাউড (Private Cloud): একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যবহারকারীর জন্য নির্দিষ্ট এবং সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত।
  • হাইব্রিড ক্লাউড (Hybrid Cloud): পাবলিক এবং প্রাইভেট ক্লাউডের সংমিশ্রণ যা উভয়ের সুবিধা প্রদান করে।
  • মাল্টি ক্লাউড (MultCloud): হাইব্রিড ক্লাউড (Hybrid Cloud) কে আরো উন্নত করে মাল্টি ক্লাউড (MultCloud) হিসেবে তৈরী করা হয়েছে। যেখানে আরো ভালো সেবা পাওয়া যায়। এখন কার সব ধরনের হাইব্রিড ক্লাউড মাল্টি ক্লাউডের মধ্যে পড়ে কিন্তু সব ক্লাউড মাল্টি ক্লাউড আবার হাইব্রিড ক্লাউড নয়।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা কি?

ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রধান সুবিধা গুলো হলো:

  • খরচ সাশ্রয়ী: আপনি শুধুমাত্র ব্যবহৃত রিসোর্সের জন্য অর্থ প্রদান করবেন।
  • স্কেলেবিলিটি: আপনার ব্যবসার চাহিদা অনুযায়ী রিসোর্স বাড়ানো বা কমানো যায়।
  • ডেটা ব্যাকআপ: তথ্যের স্বয়ংক্রিয় ব্যাকআপ রাখা হয়, যা পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া সহজ করে।
  • দ্রুত অ্যাক্সেস: যে কোনো জায়গা থেকে তথ্য এবং পরিষেবা দ্রুত অ্যাক্সেস করা যায়।
  • আরো বেশি তথ্য নিরাপত্তা: ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেম গুলি সবসময় উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদান করে। আপনার তথ্য যেন কেউ চুরি করতে না পারে তার জন্য তারা আলাদা নিরাপত্তা দিতে থাকে।

ক্লাউড কম্পিউটিং কি নিরাপদ?

হ্যাঁ, বেশিরভাগ ক্লাউড প্রোভাইডার উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থা যেমন এনক্রিপশন, মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যাবহার করে থাকে। প্রতিনিয়ত ডেটা ব্যাকআপ রাখে। তবে ব্যবহারকারীদের তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা জন্য একটি (শক্তিশালী পাসওয়ার্ড) ব্যাবহার করতে হবে।

আমার ডেটা কোথায় সংরক্ষিত হয়?

আপনার ডেটা ক্লাউড সার্ভিস প্রোভাইডারদের ডেটা সেন্টারে সংরক্ষিত থাকে। ক্লাউড সার্ভিস প্রোভাইডারদের বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থানে সার্ভার থাকে। সেখানে তারা সব ডেটা স্টোর করে রাখে।

ক্লাউড কম্পিউটিং কি শুধুমাত্র বড় ব্যবসার জন্য?

না, ক্লাউড কম্পিউটিং ছোট, মাঝারি এবং বড় সব ধরনের ব্যবসার জন্য উপযোগী এই সিস্টেম। আপনি এখানে কম খরচে উচ্চমানের সেবা পাবেন।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ভবিষ্যত কী?

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ভবিষ্যত হবে উজ্জ্বল। কেননা ক্লাউড কম্পিউটিং ছাড়া আমরা ভবিষ্যতে আর কোনো বিকল্প খুঁজে পাবো না। খন কার সময় সব থাকে প্রযুক্তি সম্পুন্ন AI গুলো ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যাবহার করে। এআই (Artificial Intelligence), আইওটি (Internet of Things), এবং মেশিন লার্নিং এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি গুলো ক্লাউড কম্পিউটিং নির্ভর। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে গুলোতে ক্লাউড কম্পিউটিং এর ব্যবহার আরও বহুমুখী হবে।

এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করেছি ক্লাউড কম্পিউটিং কী? ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে কি বুঝায়? ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা কি? এবং ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট্য কি সব কিছু নিয়ে। তাই আশাকরি ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে আপনাদের আর কিছু জানার নেই। যদি আরো কিছু জানার থাকে অথবা আমাদের কোনো কিছু বাদ পরে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেনা। আমরা সব সময় আপনাদের কমেন্টের উত্তর দিতে থাকি।

আরো কিছু প্রয়োজনীয় পোস্ট সমূহ:

আপনি নিজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইনে চেক করুন মাত্র ২ মিনিটে

ভালো লাগলে আমাদের এই ব্লগ পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। OurBD Team কে আরো ভালো ব্লগ পোস্ট প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত করুন।
ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন।