বর্তমান সময়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সকল গুরুত্বপুন্ন কাজে ব্যাবহার করা হয়। যখন আমরা বিদেশ ভ্রমণ, চাকরি, অথবা ভিসার জন্য আবেদন করি তখন আমাদের এটি প্রয়োজন হয়। আপনি যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে অবশই আপনাকে এটি চেক করতে হবে। তাই আজকের দিনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইনে চেক করার সুযোগ রয়েছে। এখন আর আপনার পুলিশ সুপারের অফসে গিয়ে আবেদন চেক করার প্রয়োজন হয় না। এতে করে আপনার অর্থ এবং সময় দুটোই বাঁচাবে।
তাই চুলুন আমরা আর দেরি না করে জানি কিভাবে আপনি নিজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইনে চেক করতে পারেন। এটি চেক করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। আপনার বেশ কিছু ডুকোমেন্ট প্রয়োজন পরবে তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই এই ডুকোমেন্ট গুলো আপনার থাকবে। তাহলে চুলুন শুরু করি।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কী? ছোট্ট করে জানি।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হলো একটি সরকারী নথি যেটা আপনার ব্যাক্তিত্ব তুলে ধরে। একজন ব্যক্তি কোনো ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত কি না সেটা নিচিত করে। আপনি যদি কোনো ফৌজদারী মামলার সাথে জড়িত থাকেন তাহলে আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবেন না। সাধারণ আপনার নাম থানায় কোন মামলা আছে কিনা সেটা চেক করা হয়। যদি আপনার নাম কোন মামলা থাকে তাহলে আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবেন না। মামলা থাকা অবস্থায় এটি পাওয়ার জন্য আপনার কোটের অনুমতি পত্র প্রয়োজন হবে।
এখন কার সময়ে অনেক চাকরিতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। তবে আমরা দেশের বাইরে যেতে এটি বেশি ব্যাবহার করি। যেমন প্রবাসী, বিদেশে পড়াশোনার, ব্যাবসা, এই ধরণের কাজের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে সুখবর হলো আপনি এখন নিজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে পারবেন এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইনে চেক করতে পারবেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট চেক করার প্রয়োজনীয়তা।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জন্য আপনার আবেদন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সময়ে চেক করার প্রয়োজন হতে পারে। এতে করে আপনার আবেদনে কোনো সমস্যা থাকলে সেটা পুনরায় সংশোধন করে আবেদন করতে পারেন। অথবা আপনার আবেদন কোন অবস্থায় রয়েছে আপনি সেটা জানতে পারবেন। কোনো কোন ক্ষেত্রে আপনার আবেদনটি তাদের অফিসে পরে থাকে। যদি আপনি দেখেন যে আপনার আবেদন প্রক্রিয়ার কোন অগ্রগতি নেই তখন থানায় যোগাযোক করতে পারেন। তাই নিজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইনে চেক করা অনেক গুরুত্বপুন্ন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইনে চেক করার ধাপ সমূহ।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইনে চেক করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই এই ধাপ গুলো খুব সহজ। আর কিছু সাধারণ ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে। চুলুন সব কিছু সহজে দেখে নেই।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করুন।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইনে চেক করতে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ওয়েবসাইটর ঠিকানাঃ
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে এখানে চাপদিন।
এই ওয়েবসাইট টি আপনার ব্রাউজারে নতুন ট্যাবে ওপেন হবে। এই ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশ পুলিশ দ্বারা পরিচালিত হয়। এখানে আপনি বাংলাদেশের সব বিভাগ, জেলা এবং উপজেলার থাকে লগইন করতে পারবেন।
প্রথম ধাপ: ওয়েবসাইট লগ ইন করুন।
প্রথমে আপনাকে ওয়েবসাইট লগ ইন করতে হবে এর জন্য “Sign In” বাটনে চাপ দিতে হবে। এর পরে আপনাকে আপনার মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিতে হবে। তার পরে আপনি “Sign In” বাটনে চাপ দিয়ে আপনার অক্কোউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন। এখন থেকে আপনি সব কিছু এক্সেস করতে পারবেন।
দ্বিতীয় ধাপ: আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন।
আপনি একাউন্টে প্রবেশ করার পরে উপরে মানু অপশন দেখতে পাবেন। এর পরে “My Account” প্রবেশ করুন। এখানে আপনি আপনার যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন। আপনি নিচে একটি বাক্স দেখতে পাবেন। সকল ইনফরমেশন দিয়ে নিচের বক্সটি পুরুন করুন।
- আপনাকে দেওয়া রেফারেন্স স্লিপের রেফারেন্স নাম্বারটি এখানে লিখুন।
- আপনার পাসপোর্ট নাম্বার লিখুন।
- একাউন্ট তৈরী করার সময় দেওয়া মোবাইল নাম্বারটি লিখুন।
- সব কিছু সঠিক ভাবে লেখা হলে “Search” অপশনে চাপদিন।
- এর পরে আপনি “Current Status” অপশন থাকে দেখে নিতে পারবেন আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের বর্তমান অবস্থা।
আপনি কি জানেন রেফারেন্স নাম্বার কি? এটি কোথায় পাবেন?
আপনারা যারা জানেন না রেফারেন্স নাম্বার কি? আমি ওয়েবসাইটে লেখার সময় রেফারেন্স নাম্বার কোথায় পাবো? আপনি যখন এই আবেদনটি সম্পুন্ন করেন সেই আবেদনের পাশে একটি নম্বর থাকে তাকেই রেফারেন্স নাম্বার বলে। এই নম্বরে মাধ্যমে ওয়েবসাইটের কর্মকর্তারা আপনার কে পেয়ে থাকে। প্রতিটি আবেদনের জন্য আলাদা আলাদা নম্বর প্রধান করে থাকে। এই নম্বর কে রেফারেন্স নাম্বার বলা হয়ে। এর মাধ্যমে আপনি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করতে পারবেন। আশাকরি বুজতে পেরেছেন।
“Current Status” অপশনে যে লেখা গুলো থাকে তার অর্থ কি?
এই “Current Status” অপশন দেখলে আপনি বুজবেন এখন আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদনের অবস্থা। সহজ ভাবে বলতে গেলে আপনার আবেদনটি যেকোন কোথায় আছে? তারা গ্রহণ করেছে না বাতিল করেছে ইত্যাদি বিষয়। এখানে অনেক কিছু লেখা থাকতে পারে তার মধ্যে কিছু উল্লেখ করা হলো।
যেমনঃ
- Application Rejected: যদি “Application Rejected” লেখা দেখায় তাহলে আপনাকে বুজতে হবে আপনার আবেদনটি বাতিল করা হয়েছে। হতে পারে আপনি আপনার ডুকোমেন্ট গুলো সঠিক ভাবে দিতে পারেন নি। কোথাও কোনো ডুকোমেন্ট ভুল রয়েছে। তখন আপনি আপনার ডুকোমেন্ট গুলো আবার চেক করবেন।
- Under Verification: যদি “Under Verification” দেখায় তাহলে আপনাকে বুজতে হবে আপনার আবেদনটি আপনার থানায় তদন্ত চলতেছে। তখন আপনি অপেক্ষা করুন।
- Certificate Printed: যদি “Certificate Printed” দেখায় তাহলে আপনাকে বুজতে হবে আপনার থানায় তদন্ত শেষ হয়েছে এখন সার্টিফিকেট তৈরী জন্য পাঠানো হয়েছে।
- By OC: যদি “By OC” দেখায় তাহলে আপনাকে বুজতে হবে আপনার আবেদনটি আপনার থানায় তদন্ত শেষ হয়েছে এখন ওসির কাছে স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছে।
- Signed By DC or SP:যদি “Signed By DC/SP” দেখায় তাহলে আপনাকে বুজতে হবে আপনার থানার ওসির স্বাক্ষরের পরে জেলা অথবা মহানগরের ডিসি কাছে স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছে।
- Ready For MoFA Verifications: যদি “Ready For MoFA Verification” দেখায় তাহলে আপনাকে বুজতে হবে আপনার আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে এখন তারা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট অনুমতি দিবে।
- Ready for delivery: যদি “Ready for delivery” দেখায় তাহলে আপনাকে বুজতে হবে আপনার আবেদনটি সব কিছু হয়ে গেছে। আপনি ১ থাকে ২ দিনের মধ্যে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি নিতে পারবেন।
আশাকরি আপনি সব ধাপ গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করে আপনি নিজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইনে চেক কোনো পারবেন। আপনি যদি সব ইনফরমেশন গুলো সঠিক ভাবে দিতে পারেন তাহলে অবশই আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স “Current Status” দেখতে পাবেন। আমরা আপনাদের সব কিছু বলে দিয়েছি “Current Status” কি দেখলে আপনি কি বুজবেন। আশাকরি আপনি সব কিছু বুজতে পারবেন।
SMS এর মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করুন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট চেক অনেক গুলো মাধ্যম এর মধ্যে একটি হলো এসএমএস। আপনি আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একটি মাত্র এসএমএস করে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। চুলুন আর দেরি না করে আপনাকে দেখিয়ে দেই। নিচের ধাপ গুলো ভালো ভাবে অনুসরণ করুন।
যেমনঃ
আপনার ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে লিখুন: PCC<স্পেস>S<স্পেস>রেফারেন্স নাম্বার এর পরে পাঠিয়ে দিন: 26969 নম্বরে।
যেমনঃ (PSS S xxxxxxxxxx)
ফিরতি এসএমএস এ আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার সর্বশেষ স্ট্যাটাস।
আপনি যদি না জেনে থাকেন ” স্ট্যাটাস” অপশনে লেখা গুলোর অর্থ কি? তাহলে এই পোষ্টের উপরের হেডিং ফলো করুন। সেখানে আমরা বিস্তারিত বলেছি এই “Current Status” কোন লেখার কি মানে। দয়া করে উপরের হেডিং টি চেক করুন তাহলে উত্তর পেয়ে যাবেন।
আপনি কি জানেন রেফারেন্স নাম্বার কি? এটি কোথায় পাবেন?
আমাদের মধ্যে অনেকে জানিনা রেফারেন্স নাম্বার কি? আমি এসএমএস করার সময় রেফারেন্স নাম্বার কোথায় পাবো। আপনি যখন এই আবেদনটি সম্পুন্ন করেছিলেন তখন সেই আবেদনের পাশে একটি নম্বর থাকে তাকেই রেফারেন্স নাম্বার বলে। এই নম্বরে মাধ্যমে এই ওয়েবসাইট আপনার আবেদন কে খুঁজে বের করে। প্রতিটি আবেদনের জন্য আলাদা আলাদা নম্বর প্রধান করে থাকে। এই নম্বর কে রেফারেন্স নাম্বার বলা হয়ে থাকে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় কত দিন?
অনেকে আমাদের কাছে জানতে চান যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় কত দিন লাগে? তাদের কে আমরা বলতে চাই যে একটি সার্টিফিকেট সাধারণত ১৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করে দেওয়া হয়। আপনি যদি ঢাকার ভিতরে থাকেন তাহলে ৭ দিয়ে মধ্যে পেয়ে যাবেন। তবে আমরা দেখেছি ঢাকার বাহিরে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় আরো বেশি লাগে। আপনি ঢাকার ভিতরে হয়তো ৭ দিনের মধ্যে পেয়ে যাবেন আবার কখনো কখনো ১৫ দিন ও সময় লাগে।
- ঢাকার ভিতরে: আপনি যদি ঢাকার ভিতরে থাকেন তাহলে আপনি ৭ দিনের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি পেয়ে যাবেন। কোনো কোন ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় ও লাগতে পারে।
- ঢাকার বাহিরে: আপনি যদি ঢাকার ভিতরে থাকেন তাহলে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় হবে ১৫ দিন। কোনো কোন ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় ও লাগতে পারে।
আমরা যে তথ্য আপনাকে দিয়েছি সেটি বাংলাদেশ পুলিশ তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে। আমরা আপনাদের সেখান থাকে বলেছি তবে আমাদের কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা ও রয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে আসলে ১৫ দিনের মধ্যে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি পেয়ে যাবেন। আপনাদের যাদের প্রশ্ন ছিল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় কত দিন লাগে আশাকরি তারা উত্তর পেয়ে গেছেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ কতদিন থাকবে?
অনেকে আমাদের কাছে জানতে চান যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ কতদিন থাকবে? তাদের জন্য বলি সাধারণত একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ থাকে ৬ মাস বা ১৮০ দিন। এটি একটি সার্টিফিকেটর সর্বোচ মেয়াদ হিসেবে নিধারণ করা থাকে। তবে আপনাকে ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ব্যাবহার করতে হবে। এই ৩ মাস পার হয়ে গেলে অনেক জায়গায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে চায় না।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ কতদিন: একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ সর্বোচ্চ ১৮০ দিন বা ৬ মাস।
আপনার যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সার্টিফিকেট মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আবার করে নিতে হবে। আপনাকে এই বিষয় মাথায় রাখতে হবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিইস্যু হয় না। কেননা এটি আপনার নাম কোনো মামলা রয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করা হয়। আর এর মাধ্যমে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ কতদিন থাকবে সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়। সেটা হলো সর্বোচ্চ ১৮০ দিন বা ৬ মাস। কারণ আপনি এই দিন গুলোর মধ্যে যেকোনো মামলার সাথে জড়িয়ে পড়তে পারেন। যারা জানতে চান যে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ কতদিন থাকবে আশাকরি তারা উত্তর পেয়েছেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে?
আপনারা তো সকলে জানেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কতটা গুরুত্বপুন্ন আমাদের জন্য। তাই আমাদের জানা প্রয়োজন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে? পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তৈরী করতে হলে আপনাকে বেশ গুলো গুরুত্বপুন্ন ডুকোমেন্ট প্রদান করতে হবে। তাদের মধ্যে আপনার পাসপোর্ট কপি, জাতীয় পরিচয় পত্র বা NID কার্ড ফটো কপি, এলাকার সনদ পত্র এর বেশ কিছু ডকুমেন্ট। তবে এই গুলোর মাধ্যমে আপনি এটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবেন না। অবশই আপনার এই ডকুমেন্ট গুলো থানার মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করা হবে। চুলুন নিচে ভালো ভাবে দেখে নেই আপনাকে কি কি কাগজ জমা দিতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে? যেমনঃ
- আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ অবশই ৩ মাস হতে হবে।
- আপনার পাসপোর্টের ঠিকানা যে পাতায় সেই পাতা ফটোকপি করে স্থাহিত করতে হবে।
- আপনার NID ফটো কপি অথবা জন্মনিবন্ধনদের ফটো কপি থাকতে হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জন্য ৫০০ টাকা ফি দিতে হবে। আপনি যে ফি দিয়েছেন সেই ফি চালান থাকতে হবে।
- একটি সচল মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
আপনি এখন জেনে গেলেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে? এই সব কাগজের বাইরে আর কোনো কাগজের দরকার পড়বে না। এই সব কাগজ জমা দিয়ে আপনি নিজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। শুধু আবেদন করলেই আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবেন না। আপনার জমা দেওয়া সকল কাগজ যাচাই করা হবে। আপনার নাম কোনো ফৌজদারি মামলা রয়েছে কি না সেটা যাচাই করা হবে। সব প্রক্রিয়া শেষ হলে আপনি একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হাতে পাবেন। আশাকরি আপনারা উত্তর পেয়েছেন যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে কোথায় যোগাযোগ করতে হয়?
প্রথমে যারা জানতে চান পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে কোথায় যোগাযোগ করতে হয়? কিভাবে আমি আমার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হাতে পাবো ইত্যাদি আরো অনেক বিষয়। তাদের জন্য থাকবে দুইটি উত্তর।
প্রথম উত্তর হলো: আপনি যদি দেশের বাহিরে যেতে চান তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদন করার জন্য আপনাকে কোথাও যেতে হবে না। আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জন্য আবেদন করতে পারবেন। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে কোথাও যোগাযোগ করতে হবে না আপনি অনলাইন ডাউনলোড করতে পারবেন।
দ্বিতীয় উত্তর হলো: যারা দেশের বাহিরে যাবে তারা শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করতে পাবে। আপনি যদি বাংলাদেশের ভিতরে চাকুরী কিংবা অন্য কোন কাজের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে চান তাহলে সরাসরি ডিএসবি অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি জেলায় বসবাস করেন তাহলে উক্ত জেলা ডিএসবি অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। বাবার আপনি যদি মেট্রোপলিটন এলাকায় বসবাস করেন তাহলে উক্ত মেট্রোপলিটন সিটি এসবি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদনের উপর নির্ভর করে আপনি কোথা থেকে আবেদন করতে পারবেন। আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যদি দেশের ভিতরে ব্যাবহার করেন তাহলে সরাসরি অফসে গিয়ে আবেদন করতে হবে। অথবা দেশের বাহিরে হলে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পাবেন। আশাকরি আপনি বুজতে পেরেছেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে কোথায় যোগাযোগ করতে হয়।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগে?
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স একটি সরকারি গুরুত্বপুন্ন নথি। যে ব্যাক্তি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জন্য আবেদন করেন তাকে একটি নিধারিত ফি দিতে হয়। কেননা যিনি আবেদন করবেন তার সকল কাগজ পত্র গুলো ভালো ভাবে চেক করা হবে। তার নাম কোনো মামলা আছে কি না সেটা চেক করা হবে। সরকারে অনেক দপ্তরে আবেদন পত্রটি যাবে তারা যাচাই করে দেখবেন। এই সব প্রক্রিয়া সম্পুন্ন করতে সরকারের অনেক খরজ হয়। তাই সরকার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটর জন্য একটি নিদৃস্ট ফি নিধারণ করেছে। অনেকে জানেন না পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে ৫০০ টাকা লাগে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জন্য আবেদন ফি ৫০০ টাকা। এটি সরকার নিধারিত ফি।
কিছু জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
আপনারা আমাদের প্রায় যে প্রশ্ন গুলো করে থাকেনা সেই প্রশ্ন গুলি এবং উত্তর সমূহ।
ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটে কোন তথ্য থাকবে?
একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটে সাধারণত নিম্নোক্ত তথ্য থাকে যেমনঃ
- ব্যক্তির নাম এবং পরিচয়।
- ব্যক্তির ঠিকানা।
- অপরাধমূলক ইতিহাস সংক্রান্ত রিপোর্ট (যদি থাকে)।
- সার্টিফিকেট ইস্যু তারিখ।
- সংশ্লিষ্ট থানার তথ্য।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় কত দিন?
ঢাকার ভিতরে: ৭ দিন। ঢাকার বাহিরে: ১৫ দিন। এর মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়।
আবেদন বাতিল হলে কী করব?
আপনার যদি আবেদন বাতিল হয় তাহলে বাতিল হওয়ার কারণ জানানো হবে। সেই কারণ অনুযায়ী সংশোধন করে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ কতদিন থাকবে?
একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ সর্বোচ্চ ১৮০ দিন বা ৬ মাস।
কি মামলা থাকলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায় না?
আপনার নাম যদি কোন ফৌজদারী মোকদ্দমা থাকে তাহলে আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবেন না। দেওয়ানী মোকদ্দমা থাকলে কোনো সমস্যা নেই।
দেওয়ানী মোকদ্দমা বা মামলা কি?
সাধারণত জমি জমা নিয়ে যে মোকদ্দমা হয় তাকে দেওয়ানী মোকদ্দমা বা দেওয়ানী মামলা বলে। দেওয়ানী মামলা থাকলে আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগে?
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জন্য আবেদন ফি ৫০০ টাকা। এটি সরকার নিধারিত ফি।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ কতদিন থাকবে?
একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ সর্বোচ্চ ১৮০ দিন বা ৬ মাস।
আরো কিছু প্রয়োজনীয় পোস্ট সমূহ:
নিজের পোস্ট কোড কিভাবে বের করব? ডাকঘর পোস্ট কোড বের করা নিয়ম
ভালো লাগলে আমাদের এই ব্লগ পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। OurBD Team কে আরো ভালো ব্লগ পোস্ট প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত করুন।
ধন্যবাদ।